নরকের রাজ পুত্র

Logo Design by FlamingText.com
Logo Design by FlamingText.com

Cheak you Time

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

অন্তিম ক্ষণের অনু চাওয়া………


সহস্র ফুলের পাপড়ি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে
একটি সকাল পেরিয়ে সন্ধায় গিয়েছিলাম
ঐ দুরের কোন এক সৈকতের পাড়ে।
আজো কি সেই স্মৃতি তোমায় মনে পরে ?
আমি ভুলব না কোন দিন,
তেমনি আমায় একদিন হবে গলায় মালা পড়িয়ে।

সৌন্দযর্তা সূর্য অস্তের সাথে বিলীন হতে পারে না
আমি শীতল
নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে চোখের মুক্ত মণি
তুষারপাতে চনমনে বিবেক তোমার
আজ ফ্যাকাসে মলিন আমি
সময়ের দাবি যে গ্রহে আছি-তোমার রুপ লাবণ্য
আমার অন্তিম ক্ষণের অনু চাওয়া ।

এখন তোমার ঐশী মসলায় ভাজা হচ্ছে আত্মা আমার
হৃদয়ে শ্বাস নিতে পারছি না
চোখের পলকে এসে আছড়ে পড়ে তপ্ত দীর্ঘশ্বাস।
আর কত প্রতীক্ষায় থাকবো বলো দুরে রেখে উর্ধ্ধশ্বাস ?
তোমার মাঝে চিরন্তন সত্যের অবকাশ,
আমরা একত্রে আলিঙ্গণে করবো বসবাস ।

এখন কিছু কাঙ্খিত সময়ের গভীর অপেক্ষায় থাকি
ধৈর্যহারা অপেক্ষা
অসহ্য, অগ্রহণীয় কিছু বিষাক্ত দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে
এই উজার করা ভালবাসায় অবশ্যই বিশ্বাস করা কঠিন ।
তারপরো আমার উদাসী ভাবনায়
গভীর চেতনায়
আবেগ আর অনুভবে মিশে আছো এক তুমি, শুধু তুমি ।

এক শুদ্ধ প্রেমের পারাবারের স্নান করেছি আমি,
হয়েছি সত্যপ্রেমী
অবশেষে,
আমার গহীনেই তোমার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি ।
২৩/১২/২০১৩

“আমি ভাল আছি” --সাগর ভট্টাচার্য্য

“আমি ভাল আছি”



কোথা থেকে তোমার আকাশ ছুঁয়ে
এক ঝাঁক সাদাকালো মেঘ
আমার আকাশে এসে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ল!
সেই বৃষ্টির জলে তোমার গন্ধ....
আমাকে উতাল করে দিল...
হঠাৎই মনে পড়ল..
  মরিচিকা তুমি ভাল আছো তো?

অনেক দিল হল তোমার ঐ মুখ দেখি নি,
অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে
কোন কথাও বলিনি,
তোমার সুখস্মৃতি বুকে আগলে আছি এখনও,
সে স্মৃতি আজও মলিন হতে দিই নি|

অনেক যত্নে রেখেছি আমি তোমায়,
আমার এ অন্তঃকরণে,
কখনো তোমার অভাব বুঝতে দিই নি নিজেকে...

আজ হঠাৎ এই বৃষ্টির গন্ধ
মনে করিয়ে দিল তোমার ভেজা চুলের সুবাস,
জুঁই ফুলের মালা ..বৃষ্টি ভেজা গন্ধ..
সব মিলে আজ আমার মনে জেগে উঠল
তোমাকে ফিরে পাওয়ার আশ্বাস..

  মরিচিকা তুমি কেমন আছো?
জানো আমি দারুণ ভাল আছি,
আমার হৃৎপিন্ডটা..
ডাক্তার বলছে আর বেশি সক্ষম নয়,
ছাড়োতো ওদের কথা,
যখন রাতে শ্বাস কষ্টে ঘুম আসে না,
তোমার ছবি বুকে ধরে
কত কথাই বলি তোমায়,
তুমি কি শুনতে পাও তা?
আমার মনে হয় তুমি আমার বুকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছ,
আরামে তখন চোখে জল নিয়ে
চোখ বুজে শুয়ে থাকি,
কারন জানি চোখ খুললেই
তুমি চলে যাবে...

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

প্রিয় মরিচিকা..........

প্রিয় মরিচিকা..........
আজ একটা সত্যি কথা বলি,
আমি কখনোই তোমার দৈহিক সান্নিধ্য চাই নি,
চাই নি আমি তোমার কাছে গভীর আবেগ আলিঙ্গন,
চাই নি আমি চাই নি...তুমি দাও আমার শুষ্ক ঠোঁটে চুম্বন....
কারন এ নিতান্তই অতি সহজ ও পরিচিত চিত্র|
চাই নি আমি সবার মত প্রেমাবেশে হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতে!
চাই নি আমি সকলের মত নিয়ম মাফিক কথা বলতে..দেখা করতে||

আমি শুধু চেয়েছি প্রাণ ভরা ভালবাসা,
চেয়েছি চাপা অনুভূতি,
চেয়েছি বুঝতে আর বোঝাতে...
দুজন দুজনার কাছে কতটা দামী....মরিচিকা!
আমার কবিতার ছত্রেছত্রে তুমি মিশে,
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসেও তুমিই মিশে,
আমি চেয়েছিলাম. যখন আমি বলব তোমায় ভালবাসি,
তুমি বলবে না ভালবাস,
শুধু গভীর চোখের অপলক চাহুনিতে
বুঝিয়ে দেবে..
প্রতিটি নিঃশ্বাস তোমারও আমাতেই মিশে....

অদৃষ্ট

তোমায় ছোঁব বলে
ভেঙ্গেছি হাতের দুটি আঙ্গুল
গোড়ালি মচকে গেছে
তবু হেসে চলেছি পথ
টেনে চলেছি কতদিন ধরে
সেই ভারি চিন্তাগুলো
মা'কে বলিনি মোটেই
মা'তো রোজই জানতে চায়।

জানালার কাঁচে কেটেছে হাত
ভিত শামুকের মত গুটিয়েছ শরীর
আনমনা হয়েছে মন...
ভেঙ্গেছি বন্ধুত্ত্ব।

সিগারেট ধরা হাতে
ছেঁকা লেগে সম্বিত ফিরেছে
অবশেষে হেসেছি বলেছি...
পার বটে ঈশ্বর তুমি।

পারামিতার অভিমান

পারামিতা তুমি অবহেলা করেছ বলে.......
অভিমানে আকাশ তার সূর্যটাকে মেঘ দিয়ে ঢেকে ফেলেছে
সকাল থেকে রোদের ঝিলিক হারিয়ে গেছে কুয়াশার অন্ধকারে........
মনটা তাই বিষন্ন্তায় ছেয়ে আছে তোমার স্মৃতি গুলোতে

পারামিতা তুমি অবহেলা করেছ বলে
অভিমানে রাতের আকাশে চাঁদ উঠেনি অমাবশ্যা দিয়ে ঢেকে ফেলেছে
জোৎসনার আলোরা ঝিকিমিকি করেনি রাতের আঁধারে
হৃদয়টা আমার তোমার ভালবাসার গহীন সাগরে ভেসে গেছে ...

পারামিতা তুমি অবহেলা করেছ বলে
অভিমানে সাগরের লোনা জল স্পর্শ করেনি ঐ সুদুর বালু চড়ে
আর বালি হাঁসরা উড়ে আসেনি শিকার ধরার ছলে....
বিপন্ন আমার সুর হারিয়ে গেছে কোন অবেলাতে কে জানে ???

পারামিতা তুমি অবহেলা করেছ বলে
অভিমানে ফুলেরা সুভাষ ছড়ায়নি দক্ষিনা হাওয়াতে
দুধ ধানের শীষ মরে পড়ে আছে ক্ষেতের আলে'
মাছরাঙা হারিয়েছে পালকের রঙিন কবিতা।

পারামিতা তুমি অবহেলা করেছ বলে
অভিমানে থমকে গেছে আমার পৃথিবীর সব চাওয়া পাওয়া
এতো বিপর্যয় আমার সারা পৃথিবীময় কাটেনা সময়
তুমি কি আজও আমার হৃদয় খুলে তোমার ভালবাসার আদর দিয়ে
কল্লোল তুলবেনা?
অভিমান করে চলে গেলে তুমি কি আমার জীবনে আর ফিরে আসবেনা ???????

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

শেষ বিকেলের তীর্যক সূর্যালোক
আছড়ে পড়ে হলদেটে ভবনটার গায়
চূড়ায় তার নীল গম্বুজ
তাতে নেই অতলান্তিকের সুনীল প্রাণবন্ততা;
বরং মরা মাছের চোখের মত ঝাপসা, ঘষা কাঁচের মতো
আপাত স্থির আমি,
চারপাশে অপরিমেয় গতিময়তা......মোশন ব্লার
একটু হাঁসফাঁস, ক্ষণিক দীর্ঘশ্বাস-
ব্যতিব্যস্ত হয়ে মুছি কপোলের লোনা জল,
উৎস তার কোথায় সে অবশ্য জানা নেই।
ধূসর আকাশ, গুমোট স্থব্ধতা-
চারপাশে এত সরবতার মাঝেও এক
অসহনীয় অব্যক্ততা,
ক্লান্ত অনিচ্ছুক পায়ে এগিয়ে চলি
দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হতে থাকে আমার ছায়া
সন্ধ্যা এই নামলো বলে

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

এই কথা গুলো নিতান্তুই সত্য...

এই কথা গুলো নিতান্তুই সত্য...
আমি চাই তোমাকে এক নজর দেখার পর যেন
আমি অন্ধ হয়ে যাই
তুমি ছাড়া আর কেউ যেন না ভাসে এই চোখে 
আমি চাই তোমাকে এক
মুহূর্তে ভালোবেসে যেন আমার
হৃদয়স্পন্ধন বন্ধ হয়ে যায়
যাতে সেই হৃদয়ে আর কারো বিচরন না হয়
আমি চাই তোমাকে এক বার ছোঁয়ার পর যেন
আমার হাতকর্পূরের মত উড়েযায়
যাতে এই হাত আর কারো ছোঁয়া না পায় .
আমি চাই তোমাকে একবার আলিঙ্গনের
পরেই যেন আমার মরন হয়
যেন এ দেহ আর কারো আলিঙ্গন  না চায়.

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

তুমি নেই আজ



সন্ধ্যায় আলো মিলিয়ে যাওয়া আকাশ
বিষণ্ন এক ভাব
এদিক ওদিক চারদিক নীরব
আলোকিত চাঁদ উঁকি দেয়
চারদিকে আলোর ছটা
এমন এক রাত চেয়েছিলাম
কান্না করবো বলে
চাঁদের দিকে তাকিয়ে তোমাকে
নীরবে ভেবে ভেবে
আজ চাঁদ আছে সাথে
মনের মত পরিবেশ
নেই শুধু.........

~আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু ~রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু,
নয় তো হীনবল -
শুধু কি এ ব্যাকুল হয়ে
ফেলবে অশ্রুজল।
মন্দমধুর সুখে শোভায়
প্রেম কে কেন ঘুমে ডোবায়।
তোমার সাথে জাগতে সে চায়
আনন্দে পাগল।
নাচ' যখন ভীষণ সাজে
তীব্র তালের আঘাত বাজে,
পালায় ত্রাসে পালায় লাজে
সন্দেহ বিহবল।
সেই প্রচন্ড মনোহরে
প্রেম যেন মোর বরণ করে,
ক্ষুদ্র আশার স্বর্গ তাহার
দিক সে রসাতল।

═══════════════════════

____ নির্যাতিত অনুভুতি


কোনো এক অভিশপ্ত সন্ধ্যা
অসহায় বন্ধুত্ব উপহাস করে
আমার নিষ্পাপ অনুভুতি
নিঃস্বার্থ অধ্যায় নিঃশেষ।
তবুও তোমার বিভক্ত ইচ্ছেপ্রহর
সাময়িক ছলনা-মঞ্চে ভাগ্যদেবতা
বড় কষ্ট নিয়ে নির্যাতিত অনুভুতি !

এ যেন
জীবন-রেখার দগ্ধ কত প্রহর !
৩৬৫ তম গোধুলি বেলায়
বিষন্ন অভিমান ও নিরব আর্তনাদে
হৃদয় দুয়ারে মৌন অভিমান।
রক্তাক্ত অন্তর্দহনে শশ্মানের যাত্রী
স্বার্থপর দুঃসময়ে নির্যাতিত অনুভুতি।

এখন
ক্লান্ত চোখের পাতা নিদ্রাহীন
অতীত দুয়ারে বিধ্বস্ত প্রাণ
ভীষণ মনোকষ্টে চলমান যাত্রী।
চারপাশে কত করুনাময়ী
তবুও জগতকে মেনে নিয়ে
কবিতার মানবতায়, তোমাদের জানিয়ে
নির্যাতিত অনুভুতি বাঁচে !
তোমাদের আশেপাশে -
ডানা জাপটানো পাখীর
রক্তাক্ত মৃত্যুস্বাদ নিয়ে !

মুহূর্তের ছায়াচ্ছন্ন চোখ


অপরূপ বিকেলের মেঘরোদ্দুর লুকোচুরি
আকাশের অপলক দৃষ্টিতে মুহূর্তের ছায়াচ্ছন্ন চোখে
লুকানো ছিল কি কোন অনুপম বিষণ্ণতা ?
আমি কি বিসৃত ছিলাম তবে ম্রিয়মাণ গোধূলি
নিসর্গের সকরুন বৃষ্টিবিলাপ ,ভরা ভাদরের জলতরঙ্গ ?
শুনিনি কি এই মাধুরী মাখা নির্জন নিভৃতসঙ্গীত
আমাতেই বিলীন একাকী আত্মমগ্ন আমি
কোন বিশেষ কিছু কি বলিনি তবে এই সুনীল প্রকৃতির কাছে ?
তাই বুঝি ঘনঘোর গহন আঁধার নেমেছিল
আকাশের আলোকিত দৃষ্টিতে মুহূর্তের ছায়াচ্ছন্ন চোখে ?

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

তোমাকে দেখলে

তোমাকে দেখলে
ইচ্ছে করে শুরু থেকে শুরু করি আমার
জীবন।
তোমাকে দেখলে
ইচ্ছে করে মরে যাই, মরে গিয়ে পুন্য
জল হই
কখনও তৃষ্ণার্ত হলে তুমি সেই জল
যদি ছুঁয়ে দেখো।
আমার আকাশ দেব
তুমি রোদ বৃষ্টি যখন যা খুশি চাও
নিয়ো
তোমার অনিদ্রা জুড়ে দেব
আমি আমার মর্ফিন।
বারো বছরের মতো দীর্ঘ
একটি রাত্তির দিয়ো
তোমাকে দেখার।
তুমি তো চাঁদের চেয়ে বেশি চাঁদ
তোমার জ্যোৎস্নায়
চুড়ো করে খোঁপা বেঁধে
কপালে সিঁদুর দিয়ে একদিন খুব
করে সাজব রমণী..
তোমাকে দেখলে
ইচ্ছে করে মরে যাই। তোমার আগুনে
আমার মুখাগ্নি যদি হই,
মরে আমি স্বর্গে
যাব।

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

অন্য

অন্য
------
জলের হাত থাকে চিবুক থাকে
জলও তাঁবু ফেলে সমতলে বসল

ধোঁয়া দেখে আমরা অবাক হয়ে গেলাম

খাতের জল অন্য খাতেই বযে যায়
গাছের শিকড় থেকে অন্য গাছই রস টেনে নেয়

অনেক দূরের গম্বুজে
মিশে থাকল পাখির অবয়ব

ঢেউ হঠাত্‍ লাফিয়ে উঠে রং বদলে নিল !!

তোমার জন্য

তোমার জন্য
--------
নদী বললে বলব তাকে
জল নিয়ে যা
যেমন খুশী যেথায় খুশী
যা বয়ে যা
তোর তো আছে সাগর, পাহাড়
অবিশ্রান্ত ছন্দ চলার
আমায় নিয়ে মিছেই
তোর ভাবনা বিলাস

পাখী বললে বলব তাকে
শ্রান্ত হলে ক্লান্ত ডানা
দন্ড দু'এক বসতে পারিস
ইচ্ছে হলেই গাইতে পারিস
তুই তো আরেক ছন্নছাড়া
এসব কথা তোর সাজে না

আকাশ বাতাস যেই বলুক
আমার জন্য আমার নিয়ম
এলোমেলো চেয়ার টেবিল
বইপত্র লেখার খাতা
আমার এমন ছন্দবিহীন
অবিন্যস্ত জীবন যাপন
যেমন ছিল থাকবে তেমন

শুধু
তুমি বললে
অমনি আমি সুবোধ বালক
ফিরতে ঘরে রাত হবেনা
ভরবে সাদা লেখার খাতা
গুটি গুটি লিখবো বসে
তোমার জন্য এই কবিতা

হিরণ্ময় আত্মা ১৫ -The Diamond Soul

হিরণ্ময় আত্মা ১৫
 The Diamond Soul

সুদুরে যাও , গভীরে বও , দূর থেকে আরও নিকটবর্তী
কখনো দীর্ঘ তরঙ্গমালা , কখনো ক্ষুদ্র জলোচ্ছ্বাস
নিপুণ আলোর সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতরো
বিন্যাস ও বিচ্ছুরণে চৈতন্যের সযত্ন প্রয়াস ।

জলের গহীনে কখনো অবিরাম অগ্নুৎপাত ,বজ্রনিনাদ
দহনের উষ্ণতা নিয়ে অবিশ্বাস্য ছাইভস্ম থেকে
জেগে ওঠা অচিন ,আতিকায় পাখি যেন তুমি

চির আদিমতার সুবিশাল আঁধার ভুবন থেকে
জগতের সকল অম্লান কথা ও কাহিনী পুনরুদ্ধার করে
হিরণ্ময় আলোকে আলোকিত কর ভুবন আমার ।

ডানার শব্দে সীমাহীন অনন্ত পথে পথে
বুনে যাও জীবনের জয়গান অবিরাম
তোমার কলতানে এঁকে যাও পালক রেখায়
আমার আকাশে কি উল্লাসে আশার ছবি ।

ছায়াচ্ছন্ন রংধনু গোধূলির মায়ামূর্তি তুমি বহুমাত্রিক বিস্তারে
সাথে করে টেনে নাও হৃদয়ের উচ্ছ্বাস যত
কোন পথে সাবলিল অনমনীয় অপার উড়াল উজ্জ্বলতম স্বর্গদ্বারে ।
(Collection)

কামদুনি -দেবেশ ঠাকুর

কামদুনি
দেবেশ ঠাকুর

মেয়েটি কলেজের ছাত্রী
মেয়েটি পথ হাঁটে রোজদিন
মেয়েটির মা বাপ আনপড়
অপুষ্টি উপবাসে সঙ্গিন।
মেয়েটি লেখাপড়া শিখবেই
অদূরে নগরের মায়াডাক
যে নগর জেগে আছে রেনেসাঁস
এ গাঁয়ে বীণাপাণি ঘুম যাক।

মেয়েটি কলেজের ছাত্রী
দুচোখে স্বপনের ইমারত
আরো সে পড়বে, পড়বেই
পড়াবে, পড়বে সে যুগপৎ।
যে আলোক চিনে দেয় অক্ষর
সে আলোয় মেয়েটিকে ধর্ষণ
ছিলোনা সংজ্ঞায় , আঘাতে
সেদিন মেঘ - ভাঙা বর্ষণ।

মেয়েকে চিরে জরা রাক্ষস
পশুও এর চেয়ে দয়াময়
এ কোন রাত্রির কথা ভাস
সময় বোঝে কি এ সংশয়!
এবার দাম আর দস্তুর
কিশোরী নিলামের পাটাতে
এবার লাশ নিয়ে মেধা-বাদ
কে কাকে পথে নেবে হাঁটাতে!

ও কবি ও গায়ক আঁকিয়ে
মোমবাতি জ্বালো সুতো পাকিয়ে।

চলাচল

চলাচল


তুমি যখন চুড়ায় পৌঁছানোর আশায়

ঊর্ধ্বমুখী সিঁড়ি খুঁজছো

আমি তখন নিম্নগামী অনেকটাই ,

তুমি যখন প্রবল উচ্ছ্বাসে

আগমনের উল্লাসে মুখর

আমি তখন প্রত্যাবর্তনের পথে ।

শুরুটা একই ছিল , সময়টাও এক

অথচ মাঝ পথে এসে তুমি

থমকে দাঁড়ালে দ্বিধাদ্বন্দ্বের দোলাচলে ।

পিছুটান বড় বেশী , বড় বেশী সংশয় মনে

বৃত্ত পূরণের আগেই কক্ষচ্যুত তুমি

পূর্ণবৃত্তের কেন্দ্রে নিশানা উড়িয়ে আমি ফিরে চলি ।

রাত আসছে ঐ

রাত আসছে ঐ

দিনের সূর্য অস্ত গেল রাত আসছে ঐ
মাগো আমার মশা তাড়াবার কয়েল গুলো কই?
বেড়ার দারে,পুকুর পারে মশা দাকে ঝুপে জারে.
মশার জ্বালায় ঘুম আসে না একলা জেগে রই
মাগো আমার মশা তাড়াবার কয়েল গুলো কই?
সেদিন থেকে কয়েল কিনে কেনইবা না আন
আমি বলি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
পড়ার টেবিলে আসি যখন মশার জ্বালায় জ্বলি তখন
বাজার থেকে কেন মা আর কয়েল আন নাকো?
আমি বলি তুমি কেন চুপটি করে থাকো
কয়েল কিনে না আনলে মা যে,মশার জ্বালায় মরব শেষে
তুমি তখন একলা গড়ে কেমন করে 'র' বে ?
আমিও নাই মশাও নাই কেমন মজা হবে .
মশায় মশায় ভরে গেছে শিউলি গাছের তল
তাড়িয়ে দিস মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল
পুকুর পারের গাছের ফাঁকে মশা গুলো লুকিয়ে থাকে |
গাছটা যেন কাটিস মাগো পেরে গেছের ফল
কাল যে কয়েল আনবি কিনা এবার আমায় বল
দিনের সূর্য অস্ত গেল রাত আসছে ঐ
মাগো আমার মশা তাড়াবার কয়েল গুলো কই
মশার জ্বালায় ঘুম আসেনা -তাইতো জেগে রই
রাত হল যে মাগো,আমার কয়েল গুলো কই?

(ছোটদের জন্য লিখলাম ভাল লাগলে লাইক দিবেন )

বাঁশিওয়ালা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাঁশিওয়ালা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

‘ওগো বাঁশিওয়ালা,
বাজাও তোমার বাঁশি,
শুনি আমার নূতন নাম;---
এই ব’লে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,
মনে আছে তো?।

আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।
সৃষ্টিকর্তা পুরো সময় দেন নি
আমাকে মানুষ ক;রে গড়তে,
রেখেছেন আধাআধি করে।
অন্তরে বাহিরে মিল হয় নি--
সেকালে আর আজকের কালে,
মিল হয়নি ব্যথায় আর বুদ্ধিতে,
মিল হয়নি শক্তিতে আর ইচ্ছায়।
আমাকে তুলে দেন নি এ যুগের পারানি নৌকায়--
চলা আটক করে ফেলে রেখেছেন
কালস্রোতের ও পারে বালুডাঙায়।
সেখান থেকে দেখি
প্রখর আলোয় ঝাপসা দূরের জগৎ;
বিনা কারনে কাংগাল মন অধীর হয়ে ওঠে;
দুই হাত বাড়িয়ে দেই,
নাগাল পাই নে কিছুই কোনো দিকে।।

বেলা তো কাটে না,
বসে থাকি জোয়ার-জলের দিকে চেয়ে---
ভেসে যায় মুক্তিপারের খেয়া,
ভেসে যায় ধনপতির ডিঙা,
ভেসে যায় চলতি বেলার আলোছায়া।
এমন সময় বাজে তোমার বাঁশি
ভরা জীবনের সুরে,
মরা দিনের নাড়ীর মধ্য
দব্‌দবিয়ে ফিরে আসে প্রাণের বেগ।।

কী বাজাও তুমি,
জানি নে সে সুর কার মনে জাগায় কী ব্যথা।
বুঝি বাজাও পঞ্চম রাগে
দক্ষিন হাওয়ার নব যৌবনের ভাটিয়ারি।
শুনতে শুনতে নিজেকে মনে হয়
যে ছিল পাহাড়তলির ঝির্‌ঝিরে নদি
তার বুকে হঠাৎ উঠেছে ঘনিয়ে
শ্রাবনের বাদল-রাত্রি।
সকালে উঠে দেখা যায় পাড়ি গেছে ভেসে,
একগুঁয়ে পাথরগুলিকে ঠেলা দিচ্ছে
অসহ্য স্রোতের ঘূর্ণিমাতন।।

আমার রক্তে নিয়ে আসে তোমার সুর
ঝড়ের ডাক, বন্যার ডাক,
আগুনের ডাক,
পাঁজরের-উপরে-আছাড়-খাওয়া
মরন সাগরের ডাক,
ঘরের-শিকল-নাড়া উদাসী হাওয়ার ডাক।
যেন হাঁক দিয়ে আসে
অপূর্নের সংকীর্ন খাতে
পূর্ন স্রোতের ডাকাতি--
ছিনিয়ে নেবে ভাসিয়ে দেবে বুঝি।
অঙে অঙে পাক দিয়ে উঠে
কালবৈশাখির-ঘূর্ণি-মার -খাওয়া অরণ্যের বকুনি।।

ডানা দেননি বিধাতা--
তোমার গান দিয়েছে আমার স্বপ্নে
ঝোড়ো আকাশে উড়োপ্রানের পাগলামি।।

ঘরের কাজ করি শান্ত হয়ে;
সবাই বলে ‘ভালো’
তারা দেখে আমার ইচ্ছের নেই জোর,
সাড়া নেই লোভের,
ঝাপট লাগে মাথার উপর
ধুলোয় লুটাই মাথা।
দুরন্ত ঠেলায় নিষেধের পাহারা কাত ক’রে ফেলি
নেই এমন বুকের পাটা;
কঠিন করে জানিনে ভালবাসতে,
কাঁদতে শুধু জানি,
জানি এলিয়ে পড়তে পায়ে।।

বাঁশিওয়ালা,
বেজে ওঠে তোমার বাঁশি,
ডাক পড়ে অমর্তলোকে;
সেখানে আপন গরিমায়
উপরে উঠেছে আমার মাথা।
সেখানে কুয়াশার পর্দা-ছেঁড়া
তরুন সূর্য আমার জীবন।
সেখানে আগুনের ডানা মেলে দেয়
আমার বারন-না-মানা আগ্রহ,
উড়ে চলে অজানা শূন্যপথে
প্রথম-ক্ষুধায়-অস্থির গরুরের মতো।
জেগে উঠে বিদ্রোহিণী,
তীক্ষন চোখের আড়ে জানায় ঘৃনা
চারদিকের ভীরুর ভিড়কে--
কৃশ কুটিলের কাপুরুষতাকে।।

বাঁশিওয়ালা,
হয়তো আমাকে দেখতে চেয়েছ তুমি।
জানি নে, ঠিক জায়গাটি কোথায়,
ঠিক সময় কখন,
চিনবে কেমন ক’রে।
দোসরহারা আষাঢ়ের ঝিল্লিঝনক রাত্রে
সেই নারীতো ছায়া রূপে
গেছে তোমার অভিসারে
চোখ- এড়ানো পথে।
সেই অজানাকে কত বসন্তে
পরিয়েছ ছন্দের মালা--
শুকোবে না তার ফুল।

তোমার ডাক শুনে একদিন
ঘরপোষা নীর্জীব মেয়ে
অন্ধকার কোন থেকে
বেরিয়ে-এল ঘোমটা খসা নারী।
যেন সে নতুন ছন্দ বাল্মীকির,
চমক লাগাল তোমাকেই।
সে নামবে না গানের আসর থেকে;
সে লিখবে তোমাকে চিঠি
রাগিনীর আবছায়ায় বসে--
তুমি জানবে না তার ঠিকানা।
ওগো বাঁশিওয়ালা।
সে থাক তোমার বাঁশির সুরের দূরত্বে।।

“”””অধ্যায়ের অংশে তুমি””””

“”””অধ্যায়ের অংশে তুমি””””

তুমি চাও আহ্লাদিতে ভালোবাসা
টানা চাওয়া চোখের পাতায়,
আমার হৃদয়ে দিল মাতাল হাওয়া ।
ঠোঁটের মাঝে আছে ভালোবাসার..
কামনার এ কিসের নেশা !

মেদতায় তোমাকে লাগিয়াছে ভালো,
সাথে আছে ছাটুনি চুল উজ্জ্বলে কালো ।
বর্নের উজ্জলে মায়াবী চেহারা,
মনে হয় যেন আমারই প্রিয়তমা ।

বুকের মাঝে স্পর্শের শীতল
সেই আছে হৃদয়ে করিতে আদর ।
দৈহিকে তোমার বিচ্ছিন্নতা
সাজনে আসিতো শুভায় পূষ্পতার ।

তোমার সম্মতিতে আমার চাওয়া,
পাবো বলে ভাবিয়া করিয়াছি তাহা ।
দেখি নাই তোমার সুসম্পর্না,
তার মাঝে যা পেয়েছি তাই দেখেছি
ভালো লাগার মাঝে পাশে চেয়েছি।

আমার জন্য তোমার থাকে মন মাতাল
পাইবে কাছে বলে সেই থাকে উত্তাল ।
ফুসরত হবে তোমার মাঝে সময়ের সাথে
আগামীর অধ্যায়ের অংশে তুমি আমার ।

কিছু কিছু কান্না,

কিছু কিছু কান্না,
শুধুই দুচোখে জলের বন্যা।
কিছু কান্না অর্থহীন,
কারো কাছে বা মূল্যহীন ।
কিছু কান্না ঝরে গোপনে ,
কখনো বা ভালবাসার অগোচরে। কিছু
কান্না মানে অপূর্ণতা,
বেদনার নীল রঙে আঁকা,
আকাশ পানে চেয়ে কষ্ট উড়িয়ে দেয়া ।
হয়তো বা সত্য ছিল না তোমার
ভালবাসা,
তবুও এ মন আজ মানতে চায় না বাধা।
মেনে নিতে চায় মন, অভিনয় করে হলেও
ভালবেসেছিলে মোরে কিছুক্ষণ. . . .

#### " আমরণ " ####

#### " আমরণ " ####


*********************************
আমার কবিতায় তুমি থাকবেই
সে আকাশ ,বাতাস ,মাটি
অসময় বা কুসময়
যাই হোক না কেন
তুমি থাকবেই ।
আমার স্বপ্নের ফুটন্ত ইচ্ছাগুলো
যখন কুঁকড়ে যায় সকালের ঘামে
তখন ইচ্ছা করে তোমায় ছিঁড়ে ফেলি
ফেলে দি ডাস্টবিনের অপ্রচলিত শব্দের মতো ।
আবার যখন কোনো প্রেমের কবিতায়
কবিতার প্রেমে আমি নেশাতুর
আমার হৃদয় ছোটে বায়ুর বেগে
তখন মনে হয়
তোমায় জড়িয়ে ধরি ভালোবেসে
আমার স্বপ্নের মতো ।
যখন একলা পথে
পায়ে আমার কাঁটা ফোটে
তখন মনে হয়
তুমি রক্ত হয়ে ঝরো ।
আবার যখন বিকেলে খেলার মাঠে
খোলা হাওয়া স্পর্শ করে
তখন মনে হয়
তুমি হৃদয় স্পর্শ করো।
আসলে জানো
তুমি থাকো আমার সাথে ।
আমি কায়া আর তুমি আমার ছায়া
প্রতিমুহূর্ত ,দিনে ,রাতে ।
আমি জানি তুমি থাকবে
আমরণ আমার সাথে ।
*********************************

আমি নাকি?

আমি নাকি?
--------
আমি নাকি কবিতা চুরী করি!
করিই তো-
তোমার মায়াবি চোখ
আর টোলপড়া কপোলের চপলতা
আমার মনের রঙ মেশানো কবিতা।
করবোই তো, করবোই তো চুরী!

আমি নাকি গানের নকল করি!
করিই তো-
তোমার পাশাপাশি থাকা
আর কল্পলোকে ঘুরে বেড়ার তান
আমার মনের সূভ মেশানো গান।
করবই তো নকল জারিজুরী!

আমি নাকি নাচতে জানিনা!
কেমনে নাচি বল-
তোমার দেহের একটু নড়াচড়া
আমার নাচে ঠাট্টা করে ওরা
আর কখন তাই'ত নাচিনা।

আমি নাকি বেঁচেও বাঁচিনা!
কেমনে বাঁচি বল-
তোমার কেবল একটু দূরে যাওয়া
মনের ভেতর একটু ব্যথা পাওয়া
মোটেও আমি সইতে পারিনা।

আদৌ কোনো কবিতা নয়... অসম্পূর্ণ কিছু কথা মাত্র...

আদৌ কোনো কবিতা নয়... অসম্পূর্ণ কিছু কথা মাত্র...

“….. তোমার আকাশছোঁয়া বাড়ি
আমি পারি না ছুঁতে তোমায়... আমার একলা লাগে ভারী...”

আজ এই গানটা খুব শুনছি জানো
সকালে কিছুতেই ব্লাইন্ডসগুলো তুলতে পারলাম না
সাদা দেয়াল-গুলো চেপে বসলো... হাসতে লাগল হা-হা করে
ওরা খুব হাসে
আমাকে দেখলেই হাসে
আমি তো শুধু একটা আকাশ দেখতে চাই... তার তলায় মাটি...
রাস্তা... কত লোক হেঁটে যাচ্ছে... গাড়ীর হর্ন...
একটা দিশেহারা মেঘ...
------------------------------------------------------
সবার মধ্যেই তো একটা আকাশ থাকে...
সেখানে মাঝে মাঝে মেঘ করে
কোনোটা ধবধবে সাদা, পেঁজা তুলোর মত নরম। মিষ্টি।
কোনোটা নিকষ কালো। একটু যেন রাগী। রাশভারী।
তারপর নিজের রাগে ও নিজেই হেসে ফেলে।
তখন বৃষ্টি হয়... মাটি থেকে সোঁদা গন্ধ
তাপ কমে যায়...
বিকেল হয়... রাত্রি হয়
তারা ফুটে ওঠে সেই আকাশে... একটা... দুটো... তিনটে...
------------------------------------------------------
আমার আজ নিকষ কালো দিন তাহলে
সারাদিন সারারাত
আজ কোনো তারা ফুটবে না বাইরে... বৃষ্টি হবে না...
------------------------------------------------------
নিজের আকাশ ছেড়ে, নিজের তারাদের ছেড়ে
অন্য আকাশ
বাইরের তারাদের দেখার দরকার কি?
সে আকাশ যে অনেক দূরে
তারাগুলো যে অনেক আলোকবর্ষ পেরিয়ে
------------------------------------------------------
কিন্তু ছুঁতে চাই যে! ইচ্ছে করে যে।
নিজেকে নিয়ে আর কাঁহাতক থাকা যায়! কতটা পারা যায়!
------------------------------------------------------
নিজের মধ্যেই বাহির থাকে
নিজের আকাশটাকে জড়িয়ে ধরলে...
নিজের তারাদের কাছের থেকে দেখলেই দেখবি
বাহির থেকে আকাশ নেমে আসছে পায়ের কাছে
দূরের তারাগুলো কাছে এসে বলছে... আমাদের ছোঁও না... ছোঁও না প্লিজ
বাহির তো অন্দরে, অন্তরে
সেখানে ডুব দে...
দেখবি ভেসে যাচ্ছিস অনেক অনেক দূরে
------------------------------------------------------
আমি যে দূরেই যেতে চাই। বাহিরকে দেখতে চাই। জানতে চাই।
আর বাহিরকে ভুলে থাকি কি করে
তবে যে ঠুলি পরতে হয়!
আর নিজেতে মজা... ? সেখানে যে কিছু নেই... সেখানে যে সব কিছু মজা
------------------------------------------------------
ঠুলি পরবি কেন? বরং যত ঠুলি আছে সব ফেলে দে...
শুধু নিজের আমি-টাকে ফেলে দিস না ... ওটাকেই আঁকড়ে ধর
যত আঁকড়াবি তত ও খুলে যাবে
ইঁট-পাথর-জানলা-দরজা সব উড়ে যাবে খোলা হাওয়ায়
তারপর একদিন দেখবি
আমিটা আর আমি নেই... আমিটা শূন্য হয়ে গেছে... আমিটা সব হয়ে গেছে...
তার অন্তর নেই। বাহির নেই। সব একাকার। সব এক।
তখন দেখবি, তুই আর একা নোস, একলা নোস।
তখন তুই নিজেই একটা আকাশ।
------------------------------------------------------
আমার আকাশ হতে ইচ্ছা করে না। যেতে ইচ্ছা করে।
এই একটু ছুঁয়ে এলাম। ঘুরলাম-ফিরলাম। তারপর চলে এলাম।
আর আকাশের বড় কষ্ট।
ভাবো তো ওর কাছে অতগুলো তারা... অতগুলো মেঘ
কিন্তু কেউ-ই যেন ওর নিজের নয়
মেঘগুলো এই আছি এই নেই, শুধু পালিয়ে বেড়ায়
তারাগুলোও যেন কেমন... কখন ওঠে, কখন নিভে যায়
এদিক থেকে ওদিক সরে যায়...
------------------------------------------------------
নিজের বলেই তো ও ওদের বাঁধে না, কিছু বলে না
ওদেরকে থাকতে দেয় ওদের মত করে
যার যেমন মন চায়, প্রাণ চায়
ও যে জানে সবাই ওর... সবই ওর
তাই চুপচাপ ভালোবেসে যায়...
------------------------------------------------------
তারারা কি জানে ও ওদের কতটা ভালোবাসে?
মেঘেরা?
ও কখনো বলেছে ওদের?
------------------------------------------------------
বলবে কেন? সব কথা কি বলতে হয় নাকি?
তবে ওরা বোঝে বোধহয়। তাই তো ফিরে আসে বারবার।
------------------------------------------------------
ওই যে তুমি বললে না... চুপচাপ ভালোবেসে যায়... তাতে ভারী কষ্ট
------------------------------------------------------
কষ্ট! হয়ত বা।
আমার কিন্তু মনে হয় জানিস
আকাশটা এক মানে জানে, একাকার জানে
আর সবকিছু যখন মিলেমিশে যায়
কষ্ট-দুঃখ-আনন্দ-গ্লানি... সব
তখন আকাশ বলে, তারা বলে, মেঘ বলে, তুই বলে, আমি বলে
আলাদা আলাদা কিছু আর থাকে না
শুধু একটাই... একটাই আমি বয়ে চলে
সীমা পেরিয়ে... সংজ্ঞা পেরিয়ে
শেষের দিকে... শুরুর দিকে
যেখানে শূন্যতার বীজ থেকে জন্ম নেয় আমি-র গান

আমিতে মিশবে বলে......
--------------------------

এলোমেলো জীবন


বলতে পারিস আমায় আর কতটা কষ্ট দিলে
তুই সুখি হবি
আর কতটা কষ্ট দিলে
তোর মন শান্ত হবে
জানিস মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছা করে আমার,
আর কতটা কষ্ট সহ্য করলে তুই বিশ্বাস করবি
আমি তোকে আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালবাসি
তোকে ছাড়া আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস অর্থহীন
আমাকে ছাড়া বেচে থাকা তোর কাছে ঠিক যতটা সম্ভব
তোকে ছাড়া বেচে থাকা আমার কাছে ঠিক ততটাই অসম্ভব
কেন এতটা ঘৃণা করিস আমায় বলতে পারিস?
তোকে আমি পাগলের মত ভালবাসি এটাই কি আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ?
মাঝে মাঝে আর সহ্য করতে পারি না
খুব ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলতে
কতটা ভালবাসি শুধু তোকে
ভাল থাকিস... আরো বেশি ঘৃণা করিস .

তাকে খুব বলতে ইচ্ছে করে

তাকে খুব বলতে ইচ্ছে করে
-------------------
তাকে খুব বলতে ইচ্ছে করে
ইদানিং রোজ রোজ আমি তার ছবি টবি দেখি
বসে থাকি যদি আজ ফোন বেজে ওঠে

বহুদিন পর আজ ,তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি খাটে
চুপ করে ভেবে যাই,
যা কিছু ইচ্ছে করে রোজ

জানি সব ভেঙ্গে যাবে,
বিগত স্বপ্নগুলো ,যেভাবে ভেঙ্গেছে প্রতিদিন

জানি এবারে ও ভুল পথ
ভুল নদী,ভুল ভাল খেলার সংসার...

তাও খুব ভালবাসি
মনে মনে ভালবাসি
চুপি চুপি ভালবাসি খালি...

ঝুপঝাপ প্রেমে পড়ে আজকাল...

তাকে খুব বলতে ইচ্ছে করে !!!

কেউ বলে দেও আমি থাকে ভুলথে পারব না

কেউ বলে দেও আমি থাকে ভুলথে পারব না ,


আর আমি ফিরে আসব না

বড় আশা নিয়ে থাকে ভালোবেসেছি

মন ভেগে দিয়ে আর দিয়ে গেছ দুক্ষ আর কষ্ট

বলে যে ভালবাসা সবাই পাই না

হয় থো তাই আমি পাই নাই

আমি শিকেছি তোমার কাছে কি করে ভালবাসা যাই

হয় থো পারব না আর কেউক ভালবাসতে

তুমি এইটা চিন্থা করো না আমি কি করে বাচবো

সেই তোমার দেওয়া কষ্ট গোল নিয়ে বেচে থাকব আমি

তুমি আর কারো হয়ে চলে যাবে

অন্য কারো ভুকে

আর আমি তোমার দেওয়া কষ্ট ভুকে নিয়ে থাকব

এক দিন ভালবাসার মানে অবশ্যই শিকবো

আমার ভালবাসার মানে বোঝবে তুমি সেই দিন

কারো কষ্টে হাসা অনেক সহজ

তুমিও কাদবে জেনে রেখো এক দিন তুমিও পড়বে জেনে রেখো এক দিন

আমার ভালবাসায় হাসনে ওয়ালে এক দিন তুমিই কাদবে আমার ভালবাসার জন্য

কষ্টে কাদবে তুমিও এক দিন

এক দিন না এক দিন তুমি বোঝবে আমার ভালবাসা

আর প্রথী মোনাজাথে চাইবে তুমি আমাকে

আর আমি থাকবো না সেই দিন এই পৃতিবিথে

তুমি কি আমার আকাশ হবে?

তুমি কি আমার আকাশ হবে?

মেঘ হয়ে যাকে সাজাব
আমার মনের মত করে ।

তুমি কি আমার নদী হবে?
যার নিবিড় আলিঙ্গনে ধন্য হয়ে
তরী বেশে ভেসে যাব কোন অজানা গন্তব্যের পথে ।

তুমি কি আমার জোছনা হবে?
যার মায়াজালে বিভোর হয়ে
নিজেকে সঁপে দেব সকল বাস্তবতা ভুলে ।

তুমি কি আমার কবর হবে?
যেখানে শান্তির শীতল বাতাসে
বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর ।

এসব আসলে কিছু নয়, সময়ের মত

এসব আসলে কিছু নয়, সময়ের মত

---------------------------
এসব আসলে কিছু নয়,
সময়ের মত কিছু সর জমে
সরে যায়, দুধেলা আকাশে

এসব তোর ও জানা
ভোর আসে, যেমন নিয়তি,

কার ক্ষতি, কে হয়েছে ধারি
এভাবে কি বলে দিতে পারি? বলা যায়?

জানি, কষ্ট হয়,
সাধের সাপের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
চলে যায় বেদেনি জীবন

নিজের গরজে তাই
নিজেরই গরল গিলে থাকা
নিজেকেই নীলকন্ঠ ডাকা

আসলে এসব কিছু নয়....

উন্মাদ দিনলিপি - ৩

উন্মাদ দিনলিপি - ৩

---------------
নেশা কেটে গেলে ভারি মাথা ধরে থাকে ইদানীং
সকালবেলায় রোদ চোখে এসে পড়ে যেন আগুনে মশাল
সাতান্ন ফিরিস্তি কাজ
আমি তো কাজেরই লোক বাপু
কিছুটা পেটালে ঢাক কেন এত শোরগোল করো

জানলার কাচ আর আকাশী রঙের পর্দাটা
কতদিন ধরে যেন একই ভাবে হয়ে আছে স্থির
বদলানো দরকার, বদলানো দরকার জানি
এখনো করিনি ঠিক – কাচ ভেঙে দেবো নাকি
খরিদ করবো কড়া লোহার গরাদ

বদলানো দরকার জানি - বন্ধুরা বলে বদলেও গেছি রীতিমতো
এখন আমাকে দেখে মনে হয় হৃদয়বৃত্তিহীন পশু
এখন আমাকে দেখে চেনা যায় কতটা ছলনা ছিলো
কতটা বিবেক

তাই হোক, চেনা যাক, ক্ষতি কিছু নেই
প্রয়োজন মিটে গেলে বাতিলই তো হয় কত কিছু
শবদাহ সারা হলে ব্যবহৃত চাদর, বালিশ
শীতকাল চলে গেলে আরামের লেপ, আলোয়ান
ওদের গুছিয়ে রাখো, আসলে সরিয়ে রাখো দূরে
যত্নের সিন্দুকে, যাতে না দেখতে হয় মুখ
যাতে না ছোঁয়াচ লাগে
যাতে না স্পর্শ করে বিগত হিমের বাধ্যতা

জানি, জানি সবটুকু প্রয়োজনে নয়
অতলান্ত ভালোবাসা আছে
দিগন্তবিস্তৃত তব হৃদয়ের উষ্ণতারাজি
অতলের খোঁজ পেতে যতটা সাঁতারু হতে হয়
ততটা কষ্ট দিয়ে গড়া যায় পাথরের স্তূপ
তাকে যে ডিঙোতে পারে সে বোধ হয় জানে
আমার বাগান নেই, নেই কোন স্নিগ্ধ উঠোন

কখনো আটকে পড়ি গোলকধাঁধায়
এত আলো, ব্যথা করে ওঠে
মনে মনে বলি, 'আমাকে অন্ধ করো
আমাকে অন্ধ করে দাও
ভালো ছিলো চিলেকোঠা ঘর, ভালো ছিলো
পাঁচিলের ঘেরাটোপ, কানাগলি, স্থবির শ্মশান
এতটা জীবন বড় ব্যথা দেয়, এত আলো
আমাকে অন্ধ করে দাও'

আমাকে খণ্ড করে দাও, বিচ্ছিন্ন করো
এবার নিজেকে দেখি নিজের দু'চোখ দিয়ে
তোমরা তো জানো আমি কতটা বদমেজাজী, কত অমানুষ
বড্ড ইচ্ছে হয় আমিও তেমনই জানি
কতটা বদমেজাজী, কত অমানুষ আমি
কত অচ্ছুত

ভারি মাথা ধরে থাকে ইদানীং, নেশা কেটে গেলে
অঝোরে বাড়তে থাকে রাত
কাজের ফিরিস্তিগুলো ছেঁড়া ফাটা ঘুড়ির মতন
গোঁত খায় মেঘলা আকাশে
তুমি যা জানো না, ওরা জানে -
আমার উঠোন নেই, নেই কোন স্নিগ্ধ বাগান...

যে চলে যাচ্ছে

যে চলে যাচ্ছে

----------
যে চলে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমারও
এই শহর থেকে নিজের বাড়ি ফেরা
দীর্ঘতর হয়ে ওঠে।
বর্ষাকালে শহর বদলায়।
কি যেন ওড়ে গুঁড়ো গুঁড়ো।
ওই ছেলেটি হাঁটছে হলুদ টুপি পরে ঘড়ি দেখতে দেখতে।
ওই মেয়েটি পায়ে মোজা পরে নেই।
বহুদূরের কোনো বারান্দায় কেউ এলোমেলো,
মনে মনে পায়চারি করে।
আহা ইজিচেয়ার, কেউ প্রদীপ বসিয়ে দিলো।
ফুটপাথের ধারে গাড়িরা ঘুমোয় লাইন দিয়ে
ফুলের পাপড়ি ভরে যাচ্ছে তাদের মাথায়।

ভুলতে চাই...কিন্তু

ভুলতে চাই...কিন্তু
------------
ভোলা কি যায়! এতই সহজ
সব কিছু ভুলে যাওয়া ?
চলতে গিয়ে যেসব স্মৃতি
পথের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া,
তাদের নিয়েই কেটেছে দিন
কেটেছে রাত, সঙ্গী ছিল
বাদল হাওয়া।

অনেক দিন তো পার
করেছি জাল বুনে ঐ কল্পনার,
এবার সবই ছাড়ার পালা,

ভেবেছিলাম পারবো আমি

সুঁতো ছাড়াই গাঁথতে মালা,
ফুল গুলো সব হারিয়ে গেল
একেক করে কোথায় যেন-

তবুও আমি রয়েছি বসে
লাভ ক্ষতির অংক কষে
অনেক বছর করেছি পার,
দিন গুনছি তোমার আসার।

--------------------------ঘুণপোকা

বহুগুচ্ছ গুল্মের মত
ময়ূরপাখারা , আকাশের জলে
টোল ফেলা জিয়োনো মাছের কাছে ;
কতকাল মেলেছো নিজেকে ?
না দিঘি না নদ , একঘেয়ে হ্রদের কিনারে।
প্রচ্ছন্ন চাঁদনীর
জাফরানরঙা জ্যোছনায় ,
চলো এক্ষুণি চাউর হই -
কোনো আদি মানব-মানবীর
নিঃসীম রেটিনায় !
--------------

Kobita

মন দিতে না পারলে
মন ভেঙো না,
শোক দিতে না পারলে
কষ্ট দিও না,
ভালোবাসা না দেতে পারলে
আভিনয় করো না আভিনয়
করে জীবন নষ্ট করো না।

## " বহুদিন বৃষ্টিতে ভিজি নি "##

## " বহুদিন বৃষ্টিতে ভিজি নি "##
  


*************************
আজ বৃষ্টিতে ভিজবো আমি
বৃষ্টির সুরে ,বৃষ্টির ছন্দে ,
দুহাত দিয়ে বৃষ্টি তোমায় জড়িয়ে ধরবো
বহুদিন ভিজি নি তোমাতে আমি ।

বৃষ্টির জমা জলে
ভাসাবো আমি সবুজ নৌকা ।
সবুজ নৌকায় মুখোমুখি আমি আর তুমি
পরে থাকা সময়ের পাতায়
লিখে দেব তোমার প্রেমের কবিতা।
বৃষ্টি আজ তোমার ঠোঁটে চুমু খাবো
বহুদিন তোমায় স্পর্শ করা হয় নি ।

বৃষ্টির তোমার ফোঁটাই আমি স্বপ্ন আঁকব
পৃথিবীর ব্যস্ত জীবনগুলিকে
আমি হাসতে শেখাবো তোমার স্পর্শে ।
ওরা হাসতে ভুলে গেছে
নোঙরা নিয়মগুলো মুছে দিয়ে
আজ আমিও হাসবো ওদের সাথে
বহুদিন হাসা হয় নি ।

সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি
আজ বৃষ্টি তোমাতে ভিজবো আমি ।
তোমার প্রেমের পরশ লেগে দুচোখে
বহুদিন বৃষ্টিতে ভিজি নি আমি ।
***************************

হে ঘুম

হে ঘুম
......
ঘুমিয়ে গেলে জাগব না আর এই ভেবে ঘুম তাড়াই

ঘুমের নিস্কম্প ছায়ার তলে
গুটিয়ে থাকা চাপা অবসাদের আহবানে
বিছিয়ে দেই মুহূর্তের ঠাণ্ডা মাদুরে—নিজেকে

মহাশুন্যের মত মহাশুন্যস্থানে
একলা একা
গ্রহানুর মত ভাসি ছুটি নিজস্ব কক্ষপথে —ঘুমের

হে ঘুম , ঘুমিয়ে থাকা বিরল ঘুম
জেগে ওঠ না আর
জীবনে আমার!
ঘুমাতে চাই না আর –ঘুমাও তুমি
পাহারায় বরং আছি জেগে
এই রাতে , শুয়ে শুয়ে সময়ের বাহুতে

হে ঘুম ,উড়ে আসা ঘুমিয়ে পড়া ঘুম

অভিনবকে লাবণ্যর খোলা চিঠি-১৭

অভিনবকে লাবণ্যর খোলা চিঠি-১৭

প্রিয় অভি,

তোমার সঙ্গে দেখা হবে বলে চাঁদের গায়েও মহুয়ার ঘ্রাণ লেগেছিলো। দেখা হতেই আকাশের ক্যানভাসে মেঘের প্রচ্ছদের গভীরে যেন তারা পথ হারালো। কত অমোঘ সৃষ্টিছাড়া সময় অতিক্রম করে তোমার সাথে আবার দেখা হবার এই মুহূর্ত পেলাম জানিনা।পথের বুক থেকে তুলে নিলাম তোমায়,যেন এইমাত্র রেখে গিয়েছিলাম তোমায়, আমার জন্য প্রতীক্ষারত।কয়েক মিনিট তুমিও চুপ ,চুপ আমিও।ব্যাকুল আমি...সময় পেরিয়ে যাচ্ছে...সময় পেরিয়ে যাচ্ছে... জমে আছে না বলা কথার অনিকেত জলধারা, বরফরূপী... শতবর্ষব্যাপী ...

আমিই মুখ খুললাম প্রথম,‘কেমন আছিস?” তারপর সব কথা কেমন ভোরের বেহালা হয়ে তরঙ্গিত চতুর্দিকে।আমার হাতে মরুরাত্রি ভর্তি পুরাতন খাতা,আজকের এই বন্যার গানটি আমি কোথায় লিখি বলতো? চোখ জুড়ে বিগলিত ভালবাসা। চোখের শ্রাবণ ঝরে পড়ার আগেই সত্যিকারের শ্রাবণ এলো,মাথা বাঁচাতে আমরা সেই পুরনো আশ্রয়ে যেখানে আমাদের ভালবাসায় জন্ম হয়েছিল নতুন এক প্রণয়ঋদ্ধ ঋতু। আমরা তার নাম রেখেছিলাম “অতিথি শ্রাবণ”।

একসাথে পথ হাঁটলাম কিছুদূর,আর সামান্য পথ বাকি আমাদের পার্থিব গন্তব্যের,তারপর, তোমার অথই নদী আমার মরুতৃষ্ণা বুকে বিপরীত দিকে ছুটে যাওয়া,ততক্ষন নতুন ঋতুর একটু খানি মেঘমাখানো আকাশ। এরপর আর হয়ত দেখা হবে না আমাদের, হয়ত সহস্র বছর, হয়ত তারও বেশি। তবু জেনে গেলাম আমার সুগন্ধে এখনও তোমার বুকে অস্থিরতা, তোমার উষ্ণতার মুখ ফেরানো এখনও আমার দিকেই। না পাওয়ার এই নাম মাত্র জীবনে এও নেহাত কম নয় অভি। অনুরোধ শুধু মাটির গভীরে মিশে যাবার আগেই তুমি নিংড়ে নিও আমার শেকড়ে সুপ্ত প্রেমের নির্যাস,আর তাকে ফিরতে দিওনা আঁধারের অঞ্জলিতে,অচেনা পানপাত্রে।

ইতি
জন্মান্তরিত লাবণ্য

#### " পাগল হৃদয় " ####

#### " পাগল হৃদয় " ####

***************************
নষ্ট সময় ,নষ্ট শব্দের অভিধানে
সবচেয়ে নষ্ট তুমি শব্দটা ।
এই তুমি তো সেই
যার মুখ ভাসে সময় অসময়ে ।
যে অবেলায় খাবলা মারে হৃদয়ে
তুলে নেয় একবস্তা স্বপ্ন ।
আবার নিজেকে জুড়ে দেয় প্রেমিক হৃদয়ে
দিয়ে যায় এক বস্তা স্মৃতি।

এই তুমি সেই
যে একলা সময়ে পা দোলায়
মস্তিষ্কের চাহিদার ভিড়ে ।
মস্তিষ্ক থেকে হৃদয়ে পৌঁছে
স্বপ্ন দেখায় নানান অছিলায় ।
নিজেকে প্রমান করে অসামান্য
অশরীরী শরীরের স্পর্শে পাগল হৃদয়ে
ধরা দিয়েও ধরা দেয় না ।

এই তুমি সেই
যার অপেক্ষায় হৃদয় দাঁড়ায়
পথের উপর বন্ধ ঘড়ি হাতে ।
অপেক্ষা করে মিঠি কন্ঠের
অপেক্ষা করে ভালো থাকার ।
কখনো হৃদয় কাঁদে,কখনো হাসে
আকাশের চাঁদ হাতে পেলে
আসলে জানো হৃদয় ভালোবাসে।
*************************

#### " তুমি জীবন " ####

#### " তুমি জীবন " ####
*************************
চার দেওয়ালে বন্দী জীবন
ছোট হতে হতে কতো ছোট হবে ।
সরল পথের সত্যি জীবন
বদলে গিয়ে আর কতো মিথ্যা হবে ।
পেটের খুদা ,মনের খুদার
খুদার চাহিদায় নিজেই হারিয়ে যাবে ।

ভালোবেসে জীবন জড়িয়ে ধরো
রৌদ্রে একটু মেলে ধরো ।
খোলা হাওয়ায় জীবন ওড়ে
ছোট হৃদয় বড় কারো
দেখবে জীবন খুশির হবে ।

সোজা পথে অনেক ধাঁধা
ভয় পাবে না
তুমি চল
দেখবে জীবন সরল হবে ।

জীবন থাকলে খিদে হবে
খিদে হলে স্বপ্ন হবে
স্বপ্ন ছাড়া যে শুন্য জীবন রবে ।

জীবন আঁধারে মন ছাড়া যে
জীবন শুন্য হবে ।
**************************

অনধিকার প্রবেশ


আমাকে আজ কেউ চিনতে পারল না, লজ্জায় জড়োসড় বকুলবিথী

বিকেলের রোদ্দুর কিঞ্চিত অবাক, খরগোশ সময়. ইঁদুর দৌড়.

গোপন কথা জানাজানি হয় হোক, আর না মুখ লুকিয়ে থাকব

রাত গভীর হলে রুপোলি চাঁদের নিচে আমার ছবি ঝুলিয়ে দেব.

মেদহীন মেঘের দল কথা না রেখেই ভেসে ভেসে চলে যেতে চায়

সংক্ষিপ্ত তোমার অনু-গল্পকথা, সংযত তোমার উত্তাল আবেগী মন,

অন্ধকার আলোর মাঝখানেই, গাছের ছায়ার ছিল অনধিকার প্রবেশ

মানব মানবীর অবহেলায় ময়দান আজ যেন তোলে নিঃশ্বাস শেষ.

তুমি জানতে পারোনি নিজস্বতায় কে বেশি ছিল এতকাল সম্ভ্রান্ত

জোনাকিরা এখন গাছের চুলে লাগিয়েছে নাম না জানা ফুলের গোছা.

নি:সঙ্গ এক রাস্তাও কতদিন তোমার গোধুলিমন ভার করেছে ঢের

নীলহলুদ পাখির চোখ হদিশ করেছে ভালবাসার বিভিন্ন রকমফের।

অমলতাস খুঁজতে গিয়ে অদ্ভুতভাবে পেয়ে গেলাম কিছু আগাছা

কী কাজে লাগবে তারা ভেবে ভেবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামল,

আজ ঘাসের সবুজ, ডালপালা পোড়ানোর জ্বালায় একেবারে অন্ধ

কই কেউ তো আনলো না গরচুমুকের সেই হারানো শরীর গন্ধ.

কি অদ্ভুত তুমি